Tuesday, July 21, 2020











খাঁটি মধু চাই,,,খাঁটি মধু চেনার উপায় কি,,,খাঁটি সুন্দর বনের মধু লাগবে,,,,মধু পরীক্ষার উপায় কি,,,,কিভাবে প্রমাণ করবো আমার মধু খাঁটি,,,আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন আসে তাহলে আপনি আমাদের পেজে এ আসেন আর আমাদের মধু সংগ্রহ করেন তাহলে আপনি পাবেন খাঁটি আর নির্ভেজাল মধু এর স্বাদ,,,,আমাদের কাছে পাওয়া যায় আসল ঘানি ভাঙা সরিষা তেল,,,,নিজেদের করা খাঁটি ঘি,,,ভেজাল মুক্ত খাঁটি পণ্য নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন 01739674720



জাল vs খাঁটি মধু - চেনার সহজ উপায়
মধু পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। মানব দেহে মধুর উপকারীতা সম্বন্ধে সবারই কম বেশি জানা আছে। মধুকে সর্বরোগের মহৌষধও বলা হয়ে থাকে। শীতের সময় শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে মধু। বিভিন্ন গায়ের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে মধু। এমনকি রূপচর্চায় মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু প্রাচীন কাল থেকেই। তাই নানা প্রয়োজনে একটুখানি খাঁটি মধুর খোঁজ অনেকেরই করতে হয়।
কিন্তু বাজার থেকে কিনে আনা এই মধু কতখানি খাঁটি তা কেউ বলতে পারবে না। কারণ অসাধু ব্যাবসায়ীরা এই মধুর মধ্যে লিকুইড গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ,মোলাসেস, চিনির সিরাপ,কর্ন সিরাপ,স্টার্চ, রাইস সিরাপ এই জাতীয় জিনিস মিশিয়ে দেয়। হয়তো মনের অজান্তে এই সব ভেজাল মধু খেয়ে শরীরের উপকারের থেকে বরং বেশি ক্ষতি করছি আমরা।
তাই খাঁটি মধু চেনা থাকলে খাঁটি মধু কিনতে আমাদের আর অসুবিধা হবে না। খাঁটি মধু - ভেজাল মধু চেনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে ল্যাব টেস্ট। আর সেই ল্যাব টেস্টার নাম হলো কার্বন স্ট্যাবল আইসোটোপ রেশিও মাস স্পেকটোমেট্রি, বা " D13C " টেস্ট।
এই টেস্টের মাধ্যমে দ্রবণে চিনি ও মধুর প্রোটিনের উৎস জানা যায় অর্থাৎ এর থেকে জানা যায় মধুর মধ্যে কৃতিম ভাবে বাইরে থেকে চিনি মেশানো হয়েছে কি না।
কিন্তু একটু খানি মধুর জন্য এই ল্যাব টেস্ট করানো সম্ভব নয়। তবে এই ল্যাব টেস্টের বাইরে আরো কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার থেকে আমরা ভালো মধু চিনতে পারবো, কারণ এই সব পদ্ধতি গুলি অনেক কাল আগে থেকেই মানুষজন প্রয়োগ করে আসছেন।
আর এই পদ্ধতি গুলি সম্পর্কে যারা অবগত নন, অথচ ভালো আর খাঁটি মধুর খোঁজ করেন, তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি উপকারে আসতে পারে।
১। গন্ধ ও স্বাদ
খাঁটি মধুতে কখনও টকটক জাতীয় কোনো গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয় আর মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, মধুর স্বাদে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না। গন্ধ আর স্বাদ দিয়ে কিছুটা আন্দাজ করে ভালো মধু চিনতে পারবেন।
২। জলের পরীক্ষা
ভেজাল মধু মানে হলো চিনির মিশ্রণ। ভেজাল মধু পরীক্ষা করার জন্য এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মধু নিন। এবারে একটু নাড়া দিলেই ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে জলের সঙ্গে, কারণ চিনি খুব তাড়াতাড়ি জলের সাথে মিশে যায়। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে জলের মধ্যে। অনেক সময় সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকতেও দেখা যাবে। কারণ আসল মধুর ঘনত্ব জলের চাইতে অনেক বেশী, তাই তা সহজে মিশবে না। কিন্তু ভেজাল ও বাজে মানের মধু একেবারে মিশে উধাও হয়ে যাবে।

৩। হিট টেস্ট
আপনি যদি খাঁটি মধু গরম করেন তবে এটি খুব তাড়াতাড়ি কারামালায়িস হবে কিন্তু কোনো ফোমের মতো ফেনা উঠবে না। কিন্তু ভেজাল মধু গরম করলে এটি তাড়াতাড়ি কারামালায়িস নাও হতে পারে কিন্তু ফেনা বা বুদ্বুদ উঠতে দেখা যাবে।
৪। আয়োডিন টেস্ট
আপনার বাড়িতে আয়োডিন থাকলে, সেটা দিয়েও খাঁটি মধু পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। এর জন্য সম পরিমান মধু আর সম পরিমান জল এক সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রনে কয়েকফোটা আয়োডিন যোগ করুন। যদি দেখেন মিশ্রনের রং লালচে বা বেগুনি হয়ে গেছে, তাহলে বুঝবেন মধুটির মধ্যে ভেজাল মেশানো আছে। মধুর মধ্যে কৃত্রিম ভাবে সুগার সিরাপ, কর্ন সিরাপ বা রাইস সিরাপ এই ধরণের ইমপিউরিটি মেশানো আছে।
৫। ভিনিগার টেস্ট
ভিনিগার প্রায় সবার রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। তাই খুব সহজেই এই টেস্টটি করে নিতে পারবেন বাড়িতেই। এটি করার জন্য এক টেবিল চামচ মধু, সামান্য জলের মধ্যে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণে দুই-তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি এই মিশ্রণ ফোমের মতো ফেনা ফেনা হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে মধুতে অন্য কিছু মেশানো রয়েছে, অর্থাৎ এটি খাঁটি মধু হতে পারে না।
এই ৫টি পরীক্ষা ছাড়াও আরো কিছু প্রচলিত পরীক্ষা আছে কিন্তু সেইগুলি তেমন ভাবে কার্যকরী না বা অনেক সময় সেই টেস্ট গুলি ১০০% সঠিক রেজাল্ট দেয় না।
যেমন
১.বুড়ো আঙুলের মাথায় মধু রাখলে যদি একটা বিন্দুর মতো স্থির হয়ে থাকে তাহলে সেটা আসল।
২.এক টুকরা সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধঘণ্টা এই ভাবে রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি কাপড়ে দাগ থেকে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি ভেজাল মধু।
৩.এক টুকরা ব্লটিং পেপার কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে দিন, যদি ব্লটিং পেপার তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, তাহলে বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়, এতে জল মেশানো আছে ।
ইত্যাদি
আর এই ৫টি পরীক্ষার মাধ্যমে মধুর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ভেজাল সম্পর্কে জানা যায়। সব ধরণের ভেজাল মাপার মাপকাঠি এটি কিন্তু নয়।
তাহলে কি খাঁটি মধু পরীক্ষা করার কোনো পদ্ধতি নেই,
আছে !
মধুর গুণগত ম্যান পরীক্ষা করার জন্য কিছু অ্যাডভান্স ল্যাবারোটারী টেস্ট আছে,কিন্তু এই সব টেস্টের প্যারামিটারগুলি খুবই উচ্চমানের তাই এখনো পর্যন্ত সেই রকম ভাবে এই সব টেস্টের প্রয়োগে নেই - সেই টেস্ট গুলি হলো -
১. কার্বন ইসোটোপ টেস্ট
২.প্রো লাইন কোয়ান্টিটি টেস্ট
৩.ইলেকট্রিকাল কন্ডাক্টিভিটি টেস্ট
৪.ডাই টেস্ট একটিভিটি
৫.ফরেন অলিগো সাকারাইস টেস্ট
৬. স্পেশাল মার্কার ফর রাইস সিরাপ বা (SMR) টেস্ট
৭.নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স বা (NMR) টেস্ট
এই খরচ সাপেক্ষ অ্যাডভান্স টেস্ট গুলি যদি প্রয়োগে আনা যায়, তাহলে সুপার মার্কেটে এক কেজি মধুর দাম বর্তমানে যা আছে তার থেকে দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে যাবে হয়তো। আর অনেক কোম্পানি মধু বেচা বন্ধ করে দেবে।
এবার হয়তো আপনি ভাবছেন খাঁটি মধু চেনার কি আর কোন উপায় নেই?
উত্তর হচ্ছে, ১০০% কোন উপায় নেই। ঘরোয়া এই পদ্ধতি গুলি অবলম্বন করে আপনি কিছুটা হলেও ভালো মধু যাচাই করে নিতে পারবেন।
তবে কিছু উপায় আছে তাহলে আপনি সঠিক খাঁটি মধু পেতে পারেন -
• মৌচাক থেকে সরাসরি যদি মধু সংগ্রহ করতে পারেন অর্থাৎ, দাঁড়িয়ে থেকে যদি মৌচাক থেকে সংগ্রহ করতে পারেন বা মধু মৌয়ালের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন, তাহলে খাঁটি মধুটি আপনি পেতে পারেন।
• এটা সম্ভব না হলে, কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মধু সংগ্রহ করতে পারেন। কারো বিশ্বস্ততায় সন্দেহ হলে তার সাথে মধুর খামার পর্যন্ত যেতে পারেন।
অতএব,বলা যেতে পারে, মৌচাক থেকে সরাসরি পাওয়া প্রাকৃতিক মধুই সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে খাঁটি ও সর্বোত্তম। সেই মধু কম ঘন হলেও, দেখতে স্বছ না হলেও আর দামে যদি একটু বেশিও হয়, তাহলেও সেই মধু সবচেয়ে খাঁটি ও ভালো, সেটাই কেনার চেষ্টা করুন।


মধু মাখানা কি ? এর উপকার কি ?

 মধু মাখানা  কি ? এর উপকার কি ? প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই সুস্বাদু মধু মাখানা , ১. কাজুবাদাম ২. কাঠবাদাম ৩. খুরমা খেজুর ৪. কিসমিস ৫...