Thursday, January 14, 2021

মধু মাখানা কি ? এর উপকার কি ?

 মধু মাখানা  কি ? এর উপকার কি ?

প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই সুস্বাদু মধু মাখানা ,

১. কাজুবাদাম
২. কাঠবাদাম
৩. খুরমা খেজুর
৪. কিসমিস
৫. গোমরী
৬. তিল
৭. ও মধু

এ ৭ টি উপকরণ দিয়ে তৈরি হচ্ছে পুষ্টিকর খাবার মধু মাখানা
সকাল সন্ধ্যা ১-২ চামচ মধু মাখানা খেলে শরিরে প্রচুর পরিমান প্রোটিন যোগ হয়ে থাকে।


মধু মাখানা নিয়মিত খাবার মাধ্যমে আল্লাহতালা আপনাকে যে সকল সুস্থতার নেয়ামত দান করবেন
#রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
#যারা রক্ত স্বল্পতায় বেশি ভোগে বিশেষ করে মহিলারা, তাদের জন্য নিয়মিত মধু- মাখানা অত্যন্ত ফলদায়ক।
#শরীরে আয়রনের ঘাটতি দূর করার পাশাপাশি রক্তে লাল কণিকার পরিমাণ বাড়ায়।
#এবং আপনার বাচ্চার মেধা শক্তি যোগাতে সাহায্য করবে, ইনশাআল্লাহ।
তবে মনে রাখবেন আমাদের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে এই খাদ্যের গুণের তুলনা হয়না,
জানিনা কতটুকু সত্য বলতে পেরেছি । তবে কথা দিলাম আল্লাহর রহমতে ডাইটেশিয়ান, নিউট্রিশিয়ান বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও গবেষকদের অগণিত পুস্তক ও পরামর্শ দ্বারা উন্মেচিত ও প্রমাণিত।
আশাকরি প্রতিপালক মহান স্রষ্টা আপনাকে ভালো রেখেছেন আলহামদুলিল্লাহ এবং ভালো রাখবেন ইনশাআল্লাহ
আমাদের ঠিকানা
বরিশাল সদর বরিশাল
বিস্তারিত জানতে যোগাযোগ করুন
01739674720
দামও হাতের নাগালে ৩৭০টাকা

Wednesday, January 13, 2021

খাঁটি মধু ভেজাল নয়, এটি স্বীকৃতি দেওয়ার মতো

খাঁটি মধু ভেজাল নয়, এটি স্বীকৃতি দেওয়ার মতো

মধু একাধিক রোগ নিরাময়ের ক্ষমতা রাখে। আমরা সবাই মধুর স্বাস্থ্যগত সুবিধাগুলি সম্পর্কে কম বেশি জানি। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে মধু এবং দারচিনি মিশ্রণ স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। মধু পিত্তথলির সংক্রমণ, বাতের ব্যথা, দুর্গন্ধ এবং এমনকি অতিরিক্ত ওজন কমাতে রোধে খুব কার্যকর উপাদান হতে পারে।

গ্রীস ও মিশরে ক্ষত অতীতের হাত থেকে নিরাময় করা মধুর ছিল না। মধু নষ্ট হয় না। প্রশ্নটি হল, আপনি যে মধু খাচ্ছেন তা খাঁটি কিনা তা কীভাবে জানতে পারে? মধু এখন বাজারের বিভিন্ন ধরণের রঙিন মোড়কে পাওয়া যায়। সুন্দরবনের খাঁটি মধুর নামে ভেজাল, রাসায়নিক উপাদান বিক্রি করা এখন সত্যই সাধারণ ঘটনা।

খাঁটি মধু শনাক্ত করার জন্য সোজা ধন্যবাদ নির্ধারণ করা যাক:

খাঁটি মধু শীতকালে বা আবহাওয়াতে আবদ্ধ থাকে।

মিষ্টি স্বাদ মিষ্টি হতে চলেছে, এতে কোনও তিক্ততা থাকবে না।

মধুতে কখনও তীব্র গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মিষ্টি গন্ধটি মিষ্টি এবং আকর্ষণীয় হতে চলেছে।

কিছুটা সাদা কাপড়ে মধু ছড়িয়ে দিন। আধ ঘন্টা রেখে দিন। তারপরে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি দাগ থেকে যায় তবে বুঝতে হবে মধু খাঁটি নয়।

একটি মোমবাতি নিন এবং তার লবণ মধুতে ভালভাবে ডুবিয়ে নিন। এখন আগুন দিয়ে জ্বলানোর চেষ্টা করুন। যদি এটি জ্বলতে থাকে তবে বুঝতে হবে মধু খাঁটি। এবং যদি এটি জ্বলিত না হয় তবে বুঝুন যে মধুর মধ্যে জল মিশ্রিত রয়েছে।

কয়েকবারের জন্য বাম অভ্যর্থনা থাকলে মধু মধুর মধ্যে জমা হতে পারে। তবে আপনি যদি অল্প সময়ের জন্য দুর্দশাগ্রস্ত একটি জারের সময় মধু সেট করেন। এই চিনিটি গলে গেলে মধু স্বাভাবিক হয়ে আসবে। তবে ভুয়া মধুর ক্ষেত্রে, এটি হবে না।

এক গ্লাস বা বাটির সময় কিছুটা জল নিন। এতে এক চা চামচ মধু রাখুন। মধু যদি পানির সাথে সহজে মিশে যায় তবে বুঝতে হবে এটি জাল হতে হবে। আসল মধুর ঘনত্ব জলের তুলনায় অনেক বেশি, সুতরাং এটি সহজে মিশে যায় না। মধু জলের সাথে মেশবে না যদিও তাড়িত না।


খাঁটি মধু চেনার ৫ উপায়

খাঁটি মধু চেনার ৫ উপায় 

১. বুড়ো আঙুলের পরীক্ষা

সামান্য মধু নিন বুড়ো আঙুলে। দেখুন, এটি অন্যান্য তরলের মতো ছড়িয়ে পড়ে কি না। মধু খাঁটি না হলে তা অন্য তরলের মতো দ্রুত ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু আসল মধু ঘন হয়ে আটকে থাকবে। সহজে ছড়াবে না। আবার একটু বেশি পরিমাণ মধু নিয়ে বুড়ো আঙুল উল্টো করে ধরে রাখলে তা সহজে ফোঁটা আকারে পড়বে না।

২. পানির পরীক্ষা
এক গ্লাস পানিতে এক চা চামচ মধু নিন। ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে পানির সঙ্গে। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে পানিতে। বিশেষ করে সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকবে। কিন্তু বাজে মানের মধু একেবারে হাওয়া হয়ে যাবে।

৩. আগুনের পরীক্ষা
হয়তো এ পদ্ধতির কথা এর আগে শোনেননি। খাঁটি মধু কিন্তু দাহ্য পদার্থ। তবে মধুতে আগুন জ্বালানোর আগে সাবধান থাকবেন। নিরাপত্তাব্যবস্থা পরিপূর্ণ করতে হবে। তবে পরীক্ষা অতি সাধারণ। ম্যাচের একটা কাঠি মধুতে চুবিয়ে নিন। এবার এই কাঠি জ্বালাতে ম্যাচবক্সে আঘাত করুন। জ্বলে উঠলে মধু নিয়ে নিশ্চিত থাকতে পারেন। আর মধুতে ভেজাল থাকলে আগুন জ্বলবে না।

৪. ভিনেগারের পরীক্ষা
এক টেবিল চামচ মধু, সামান্য পানি আর সেই মিশ্রণে দুই-তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি এই মিশ্রণ ফোমের মতো ফেনিল হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে মধুতে অন্য কিছু মেশানো রয়েছে।

৫. তাপমাত্রার পরীক্ষা
খাঁটি মধুতে তাপ দিলে তা খুব দ্রুত কেরামেলের মতো হয়ে যাবে। এটা ফোমের মতো ফেনিল হবে না। কিন্তু ভেজাল মধু কেরামেলের মতো ফেটে ফেটে যাবে না। এতে কেবল বুদবুদ উঠবে।

--এনডিটিভি অবলম্বনে সাকিব সিকান্দার

খাঁটি মধু এবং ভেজাল মধু সম্পর্কে জানতে চাই

খাঁটি মধু চেনার ৫ উপায়
 
খাঁটি মধু আর ভেজাল মধু চেনা খুবই জটিল। গুলিয়ে ফেলেন অনেকে। তাই ক্রেতাদের খাঁটি মধু চেনাতে ব্যতিক্রমী আয়োজন নিয়ে মধু মেলায় হাজির হয়েছেন চট্টগ্রামের বাসিন্দা সৈয়দ মো. মঈনুল আনোয়ার। বিভিন্ন ফুল থেকে আহরণ করা মধু নিয়ে এসেছেন তিনি। পাশাপাশি দর্শনার্থীদের দেখানোর জন্য সাজিয়ে রেখেছেন ভেজাল মধু এবং ভেজাল মধু তৈরির উপাদান।
চট্টগ্রাম শহরে ১২ বছর ধরে মধু ব্যবসায় জড়িত মঈনুল আনোয়ার। ২০১৬ সালে রাজধানীতে মৌ মেলায় মধু বিক্রি করেছিলেন তিনি। তবে এবার আর বিক্রি করছেন না। স্টল বসে দর্শনার্থীদের জানাচ্ছেন খাঁটি ও ভেজাল মধুর মধ্যে পার্থক্য।
স্টলে আসা কয়েকজন দর্শনার্থীকে ভেজাল মধু চেনাচ্ছিলেন মঈনুল। প্রথমে অল্প একটু ভেজাল মধু অ্যালুমিনিয়াম ফয়েল পেপারে নিয়ে আগুনে ধরিয়ে দেখালেন, তা আগুনে পুড়ছে। এরপর খাঁটি মধু নিয়ে একইভাবে আগুনে দিয়ে দেখালেন খাঁটি মধুও আগুনে পুড়ছে। এবার তিনি দর্শনার্থীদের উদ্দেশে বললেন, বাজারে এভাবে পরীক্ষা করে খাঁটি মধু বিক্রি করলেও এটা আসলে ভুয়া একটা পদ্ধতি। এরপর একটা খাঁটি ও একটা ভেজাল মধুর কৌটার মুখ খুলে দর্শনার্থীদের দিলেন ঘ্রাণ নেওয়ার জন্য। জানালেন, চিনি কিংবা গুড়, মধুর ঘ্রাণ ও ফিটকিরির মিশেলে ভেজাল মধু তৈরি করা হয়। তাই ভেজাল মধুর গন্ধটা ভিন্ন হয়।
ফার্মগেটে শুরু হওয়া দুই দিনব্যাপী জাতীয় মৌ মেলায় দর্শনার্থীদের হাতে-কলমে এভাবেই আসল মধু চেনার বিভিন্ন ত্রুটিপূর্ণ পদ্ধতি ও চেনার উপায় সম্পর্কে জানাচ্ছিলেন মঈনুল। এর পাশাপাশি মৌমাছি সম্পর্কে বিভিন্ন প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শনের মাধ্যমেও দর্শনার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে।
কেবল তাই নয়, স্টলে অণুবীক্ষণ যন্ত্রের মাধ্যমে মঈনুল দর্শনার্থীদের দেখাচ্ছেন প্রতিটি ফুলের পরাগরেণু ভিন্ন ভিন্ন রকমের হয়ে থাকে। পর্যায়ক্রমে দর্শনার্থীদের বুঝিয়ে দিলেন, কীভাবে পরাগরেণু দেখে বোঝা যায় কোন ফুলের মধু।
মঈনুল বলেন, ফুলভেদে মধুর রং বিভিন্ন হয়ে থাকে। তিনি আরও জানান, পানির মাধ্যমে পরীক্ষাও খাঁটি মধু চেনাতে পারে না। মধু পানির থেকে ভারী হওয়ায় তা স্বাভাবিকভাবেই তলানিতে জমা হয়।
মেলায় আসা জাহিদ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাজার থেকে মধু কিনতে গেলে আসল মধু বিষয়ে সব সময় উদ্বিগ্ন থাকতে হয়। মেলা থেকে হাতে-কলমে ভেজাল মধু চিনতে শিখেছেন তিনি। এ ছাড়া মধু সম্পর্কে বেশ কিছু ভুল ধারণা সম্পর্কে সঠিক তথ্য পেয়েছেন।
সংগ্রহ-prothomalo

Tuesday, July 21, 2020











খাঁটি মধু চাই,,,খাঁটি মধু চেনার উপায় কি,,,খাঁটি সুন্দর বনের মধু লাগবে,,,,মধু পরীক্ষার উপায় কি,,,,কিভাবে প্রমাণ করবো আমার মধু খাঁটি,,,আপনার মনে যদি এমন প্রশ্ন আসে তাহলে আপনি আমাদের পেজে এ আসেন আর আমাদের মধু সংগ্রহ করেন তাহলে আপনি পাবেন খাঁটি আর নির্ভেজাল মধু এর স্বাদ,,,,আমাদের কাছে পাওয়া যায় আসল ঘানি ভাঙা সরিষা তেল,,,,নিজেদের করা খাঁটি ঘি,,,ভেজাল মুক্ত খাঁটি পণ্য নিতে আমাদের সাথে যোগাযোগ করুন 01739674720



জাল vs খাঁটি মধু - চেনার সহজ উপায়
মধু পছন্দ করে না এমন লোক খুঁজে পাওয়া ভার। মানব দেহে মধুর উপকারীতা সম্বন্ধে সবারই কম বেশি জানা আছে। মধুকে সর্বরোগের মহৌষধও বলা হয়ে থাকে। শীতের সময় শরীর গরম রাখতে সাহায্য করে মধু। বিভিন্ন গায়ের ক্ষত সারাতেও সাহায্য করে মধু। এমনকি রূপচর্চায় মধু ব্যবহৃত হয়ে আসছে বহু প্রাচীন কাল থেকেই। তাই নানা প্রয়োজনে একটুখানি খাঁটি মধুর খোঁজ অনেকেরই করতে হয়।
কিন্তু বাজার থেকে কিনে আনা এই মধু কতখানি খাঁটি তা কেউ বলতে পারবে না। কারণ অসাধু ব্যাবসায়ীরা এই মধুর মধ্যে লিকুইড গ্লুকোজ, ডেক্সট্রোজ,মোলাসেস, চিনির সিরাপ,কর্ন সিরাপ,স্টার্চ, রাইস সিরাপ এই জাতীয় জিনিস মিশিয়ে দেয়। হয়তো মনের অজান্তে এই সব ভেজাল মধু খেয়ে শরীরের উপকারের থেকে বরং বেশি ক্ষতি করছি আমরা।
তাই খাঁটি মধু চেনা থাকলে খাঁটি মধু কিনতে আমাদের আর অসুবিধা হবে না। খাঁটি মধু - ভেজাল মধু চেনার সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হচ্ছে ল্যাব টেস্ট। আর সেই ল্যাব টেস্টার নাম হলো কার্বন স্ট্যাবল আইসোটোপ রেশিও মাস স্পেকটোমেট্রি, বা " D13C " টেস্ট।
এই টেস্টের মাধ্যমে দ্রবণে চিনি ও মধুর প্রোটিনের উৎস জানা যায় অর্থাৎ এর থেকে জানা যায় মধুর মধ্যে কৃতিম ভাবে বাইরে থেকে চিনি মেশানো হয়েছে কি না।
কিন্তু একটু খানি মধুর জন্য এই ল্যাব টেস্ট করানো সম্ভব নয়। তবে এই ল্যাব টেস্টের বাইরে আরো কিছু ঘরোয়া উপায় আছে যার থেকে আমরা ভালো মধু চিনতে পারবো, কারণ এই সব পদ্ধতি গুলি অনেক কাল আগে থেকেই মানুষজন প্রয়োগ করে আসছেন।
আর এই পদ্ধতি গুলি সম্পর্কে যারা অবগত নন, অথচ ভালো আর খাঁটি মধুর খোঁজ করেন, তাদের জন্য এই আর্টিকেলটি উপকারে আসতে পারে।
১। গন্ধ ও স্বাদ
খাঁটি মধুতে কখনও টকটক জাতীয় কোনো গন্ধ থাকবে না। খাঁটি মধুর গন্ধ হবে মিষ্টি ও আকর্ষণীয় আর মধুর স্বাদ হবে মিষ্টি, মধুর স্বাদে কোনও ঝাঁঝালো ভাব থাকবে না। গন্ধ আর স্বাদ দিয়ে কিছুটা আন্দাজ করে ভালো মধু চিনতে পারবেন।
২। জলের পরীক্ষা
ভেজাল মধু মানে হলো চিনির মিশ্রণ। ভেজাল মধু পরীক্ষা করার জন্য এক গ্লাস জলে এক চা চামচ মধু নিন। এবারে একটু নাড়া দিলেই ভেজাল মধু শিগগিরই মিশে যাবে জলের সঙ্গে, কারণ চিনি খুব তাড়াতাড়ি জলের সাথে মিশে যায়। কিন্তু আসল মধু মিশে গেলেও এর কিছু অংশ ঘন হয়ে ভেসে বেড়াবে জলের মধ্যে। অনেক সময় সামান্য অংশ তলানিতে পড়ে থাকতেও দেখা যাবে। কারণ আসল মধুর ঘনত্ব জলের চাইতে অনেক বেশী, তাই তা সহজে মিশবে না। কিন্তু ভেজাল ও বাজে মানের মধু একেবারে মিশে উধাও হয়ে যাবে।

৩। হিট টেস্ট
আপনি যদি খাঁটি মধু গরম করেন তবে এটি খুব তাড়াতাড়ি কারামালায়িস হবে কিন্তু কোনো ফোমের মতো ফেনা উঠবে না। কিন্তু ভেজাল মধু গরম করলে এটি তাড়াতাড়ি কারামালায়িস নাও হতে পারে কিন্তু ফেনা বা বুদ্বুদ উঠতে দেখা যাবে।
৪। আয়োডিন টেস্ট
আপনার বাড়িতে আয়োডিন থাকলে, সেটা দিয়েও খাঁটি মধু পরীক্ষা করে নিতে পারবেন। এর জন্য সম পরিমান মধু আর সম পরিমান জল এক সাথে মিশিয়ে নিন। এরপর এই মিশ্রনে কয়েকফোটা আয়োডিন যোগ করুন। যদি দেখেন মিশ্রনের রং লালচে বা বেগুনি হয়ে গেছে, তাহলে বুঝবেন মধুটির মধ্যে ভেজাল মেশানো আছে। মধুর মধ্যে কৃত্রিম ভাবে সুগার সিরাপ, কর্ন সিরাপ বা রাইস সিরাপ এই ধরণের ইমপিউরিটি মেশানো আছে।
৫। ভিনিগার টেস্ট
ভিনিগার প্রায় সবার রান্নাঘরেই পাওয়া যায়। তাই খুব সহজেই এই টেস্টটি করে নিতে পারবেন বাড়িতেই। এটি করার জন্য এক টেবিল চামচ মধু, সামান্য জলের মধ্যে মিশিয়ে নিন। এরপর সেই মিশ্রণে দুই-তিন ফোঁটা ভিনেগার দিন। যদি এই মিশ্রণ ফোমের মতো ফেনা ফেনা হয়ে ওঠে, তাহলে বুঝতে হবে মধুতে অন্য কিছু মেশানো রয়েছে, অর্থাৎ এটি খাঁটি মধু হতে পারে না।
এই ৫টি পরীক্ষা ছাড়াও আরো কিছু প্রচলিত পরীক্ষা আছে কিন্তু সেইগুলি তেমন ভাবে কার্যকরী না বা অনেক সময় সেই টেস্ট গুলি ১০০% সঠিক রেজাল্ট দেয় না।
যেমন
১.বুড়ো আঙুলের মাথায় মধু রাখলে যদি একটা বিন্দুর মতো স্থির হয়ে থাকে তাহলে সেটা আসল।
২.এক টুকরা সাদা কাপড়ে মধু মাখান। আধঘণ্টা এই ভাবে রেখে দিন। তারপর জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। যদি কাপড়ে দাগ থেকে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেটি ভেজাল মধু।
৩.এক টুকরা ব্লটিং পেপার কয়েক ফোঁটা মধু ফেলে দিন, যদি ব্লটিং পেপার তা সম্পূর্ণ শুষে নেয়, তাহলে বুঝবেন মধুটি খাঁটি নয়, এতে জল মেশানো আছে ।
ইত্যাদি
আর এই ৫টি পরীক্ষার মাধ্যমে মধুর মধ্যে নির্দিষ্ট কিছু ভেজাল সম্পর্কে জানা যায়। সব ধরণের ভেজাল মাপার মাপকাঠি এটি কিন্তু নয়।
তাহলে কি খাঁটি মধু পরীক্ষা করার কোনো পদ্ধতি নেই,
আছে !
মধুর গুণগত ম্যান পরীক্ষা করার জন্য কিছু অ্যাডভান্স ল্যাবারোটারী টেস্ট আছে,কিন্তু এই সব টেস্টের প্যারামিটারগুলি খুবই উচ্চমানের তাই এখনো পর্যন্ত সেই রকম ভাবে এই সব টেস্টের প্রয়োগে নেই - সেই টেস্ট গুলি হলো -
১. কার্বন ইসোটোপ টেস্ট
২.প্রো লাইন কোয়ান্টিটি টেস্ট
৩.ইলেকট্রিকাল কন্ডাক্টিভিটি টেস্ট
৪.ডাই টেস্ট একটিভিটি
৫.ফরেন অলিগো সাকারাইস টেস্ট
৬. স্পেশাল মার্কার ফর রাইস সিরাপ বা (SMR) টেস্ট
৭.নিউক্লিয়ার ম্যাগনেটিক রেসোনেন্স বা (NMR) টেস্ট
এই খরচ সাপেক্ষ অ্যাডভান্স টেস্ট গুলি যদি প্রয়োগে আনা যায়, তাহলে সুপার মার্কেটে এক কেজি মধুর দাম বর্তমানে যা আছে তার থেকে দ্বিগুনেরও বেশি হয়ে যাবে হয়তো। আর অনেক কোম্পানি মধু বেচা বন্ধ করে দেবে।
এবার হয়তো আপনি ভাবছেন খাঁটি মধু চেনার কি আর কোন উপায় নেই?
উত্তর হচ্ছে, ১০০% কোন উপায় নেই। ঘরোয়া এই পদ্ধতি গুলি অবলম্বন করে আপনি কিছুটা হলেও ভালো মধু যাচাই করে নিতে পারবেন।
তবে কিছু উপায় আছে তাহলে আপনি সঠিক খাঁটি মধু পেতে পারেন -
• মৌচাক থেকে সরাসরি যদি মধু সংগ্রহ করতে পারেন অর্থাৎ, দাঁড়িয়ে থেকে যদি মৌচাক থেকে সংগ্রহ করতে পারেন বা মধু মৌয়ালের কাছ থেকে সংগ্রহ করতে পারেন, তাহলে খাঁটি মধুটি আপনি পেতে পারেন।
• এটা সম্ভব না হলে, কোনো বিশ্বস্ত প্রতিষ্ঠান থেকে মধু সংগ্রহ করতে পারেন। কারো বিশ্বস্ততায় সন্দেহ হলে তার সাথে মধুর খামার পর্যন্ত যেতে পারেন।
অতএব,বলা যেতে পারে, মৌচাক থেকে সরাসরি পাওয়া প্রাকৃতিক মধুই সবচেয়ে ভালো, সবচেয়ে খাঁটি ও সর্বোত্তম। সেই মধু কম ঘন হলেও, দেখতে স্বছ না হলেও আর দামে যদি একটু বেশিও হয়, তাহলেও সেই মধু সবচেয়ে খাঁটি ও ভালো, সেটাই কেনার চেষ্টা করুন।


মধু মাখানা কি ? এর উপকার কি ?

 মধু মাখানা  কি ? এর উপকার কি ? প্রচুর ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর এই সুস্বাদু মধু মাখানা , ১. কাজুবাদাম ২. কাঠবাদাম ৩. খুরমা খেজুর ৪. কিসমিস ৫...